আপনাদের মধ্যে এমন কেউ কি আছেন যিনি নিজের সাধের ফেসবুক একাউন্টটি হ্যাক হওয়া নিয়ে কোন পরোয়াই করেন না?
বর্তমানে ফেসবুক আমাদের অনেক সহজসাধ্য হয়ে গেছে। এর সাথে জড়িয়ে থাকে অনেক স্মৃতি, কারো আবার ব্যবসা-বাণিজ্য এবং আরও কত কি! অনেকে আবার সোশাল স্ট্যাটাসের অংশ হিসেবে ফেসবুক একাউন্টের ভূমিকাকে অনেক গুরুত্ব সহকারে দেখে থাকেন। তাই আসলে কেউই চায় না তার সাধের ফেসবুক একাউন্টটি হ্যাক হোক।
তবে ভাবনার কারণ নেই। কারণ, কারো ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করা যতটা না সহজ, তার চেয়ে একাউন্ট হ্যাক প্রতিরোধ করা অনেক বেশি সহজ। শুধু প্রয়োজন একটু সচেতনতা।
আজকের পোস্টে আমরা তুলে ধরব ফেসবুক হ্যাকের কিছু পদ্ধতি এবং এগুলো থেকে বাঁচার উপায়। এক্ষেত্রে হ্যাকিং মেথডগুলো ব্লগে শেয়ার না করে আমরা পেজে শেয়ার করব।
তাহলে শুরু করছি...
প্রতিরোধ:
অধিকাংশ কি-লগার প্রোগ্রামকেই এন্টিভাইরাস প্রোগ্রাম ডিটেক্ট করতে পারে। তাই আপনার ডিভাইসে এন্টিভাইরাস প্রোগ্রাম ইন্সটল রাখুন এবং নিয়মিত আপডেট করুন। মাঝে মধ্যে টাস্ক ম্যানেজারে দেখুন কোন অজানা প্রসেস সচল আছে কিনা। থাকলে প্রসেসটি বন্ধ করে দিন এবং দেখুন স্টার্টআপের মধ্যে কোন অজানা ফাইল বা সার্ভিস দেওয়া আছে কিনা। তবে এতকিছু যদি কঠিন মনে হয়, তবে শুধুমাত্র ট্রাসটেড সাইটগুলো থেকেই এপস ডাউনলোড করুন এবং পিসিতে এন্টিভাইরাস সচল রাখুন। প্রয়োজনে লিনাক্স চালান। কারণ, লিনাক্সে ভাইরাস আক্রমণের আশংকা কম (যেহেতু আপনার আশেপাশে উইন্ডোজ ইউজারই বেশি)।
আপনাদের অনলাইন জীবন সুরক্ষিত হোক... :-)
বর্তমানে ফেসবুক আমাদের অনেক সহজসাধ্য হয়ে গেছে। এর সাথে জড়িয়ে থাকে অনেক স্মৃতি, কারো আবার ব্যবসা-বাণিজ্য এবং আরও কত কি! অনেকে আবার সোশাল স্ট্যাটাসের অংশ হিসেবে ফেসবুক একাউন্টের ভূমিকাকে অনেক গুরুত্ব সহকারে দেখে থাকেন। তাই আসলে কেউই চায় না তার সাধের ফেসবুক একাউন্টটি হ্যাক হোক।
তবে ভাবনার কারণ নেই। কারণ, কারো ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করা যতটা না সহজ, তার চেয়ে একাউন্ট হ্যাক প্রতিরোধ করা অনেক বেশি সহজ। শুধু প্রয়োজন একটু সচেতনতা।
আজকের পোস্টে আমরা তুলে ধরব ফেসবুক হ্যাকের কিছু পদ্ধতি এবং এগুলো থেকে বাঁচার উপায়। এক্ষেত্রে হ্যাকিং মেথডগুলো ব্লগে শেয়ার না করে আমরা পেজে শেয়ার করব।
তাহলে শুরু করছি...
Ways To Hack Facebook Account & Its Prevention
১। ফিশিং:
ফিশিং হচ্ছে কোন সাইটের নকল কপি তৈরি করে তার মাধ্যমে কারো পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নেওয়ার কৌশল। এক্ষেত্রে এটাকার নির্দিষ্ট সাইটের লগিন পেজের নকল কপি তৈরি করে তার html কোডে কিছু পরিবর্তন করে এবং কোন ফ্রি হোস্টিং সার্ভিস দেয় এমন কোথাও হোস্ট করে ফাইলটির লিংক ভিক্টিমকে পাঠায় এবং ভিক্টিম ঐ লিংকে ক্লিক করে পাসওয়ার্ড লিখলেই এটাকারের কাছে পাসওয়ার্ড চলে আসে। এটি অতি পরিচিত ফেসবুক হ্যাকিং কৌশল।
প্রতিরোধ:
ফেসবুক থেকে কোন লিংকে প্রবেশ করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন, বিশেষ করে শর্ট লিংক ও প্রাইভেট মেসেজে পাঠানো লিংকের মাধ্যমেই হ্যাকাররা ফিশিং করে থাকে। যদি কোন লিংকে প্রবেশ করার পর ফেসবুক লগিন পেজ এসেই পরে, তবে উপরে এড্রেসবারে দেখুন www.facebook.com বা m.facebook.com বা এরকম স্পষ্ট লিংক আছে কিনা যা দেখে নিশ্চিত হওয়া যায় যে এটা ফেসবুকেরই লগিন পেজ, ফিশিং পেজ নয়।
ফিশিং হচ্ছে কোন সাইটের নকল কপি তৈরি করে তার মাধ্যমে কারো পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নেওয়ার কৌশল। এক্ষেত্রে এটাকার নির্দিষ্ট সাইটের লগিন পেজের নকল কপি তৈরি করে তার html কোডে কিছু পরিবর্তন করে এবং কোন ফ্রি হোস্টিং সার্ভিস দেয় এমন কোথাও হোস্ট করে ফাইলটির লিংক ভিক্টিমকে পাঠায় এবং ভিক্টিম ঐ লিংকে ক্লিক করে পাসওয়ার্ড লিখলেই এটাকারের কাছে পাসওয়ার্ড চলে আসে। এটি অতি পরিচিত ফেসবুক হ্যাকিং কৌশল।
প্রতিরোধ:
ফেসবুক থেকে কোন লিংকে প্রবেশ করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন, বিশেষ করে শর্ট লিংক ও প্রাইভেট মেসেজে পাঠানো লিংকের মাধ্যমেই হ্যাকাররা ফিশিং করে থাকে। যদি কোন লিংকে প্রবেশ করার পর ফেসবুক লগিন পেজ এসেই পরে, তবে উপরে এড্রেসবারে দেখুন www.facebook.com বা m.facebook.com বা এরকম স্পষ্ট লিংক আছে কিনা যা দেখে নিশ্চিত হওয়া যায় যে এটা ফেসবুকেরই লগিন পেজ, ফিশিং পেজ নয়।
২। সাইট ক্লোনিং:
এ পদ্ধতিটি সম্পূর্ণ লিনাক্সভিত্তিক। Kali Linux হলে ভালো, অন্য লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশনেও করা যাবে। অন্য লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন হলে se-toolkit ও অন্যান্য প্যাকেজ ম্যানুয়ালি ইনস্টল করতে হবে। এক্ষেত্রেও পূর্বের পদ্ধতির মতই একটি নকল লগিন পেজ তৈরি করা হয়, তবে তা কোন ফ্রি বা পেইড হোস্টিং সার্ভিস ব্যবহার না করেই। হোস্টিংটা হয় নিজের কম্পিউটারে আর পাসওয়ার্ড পাওয়ার সাথে সাথেই মনিটরে প্রদর্শিত হয়। তবে হ্যাঁ, এজন্য পিসিটিকে পাসওয়ার্ড না পাওয়া পর্যন্ত অনলাইনে রাখতে হয়।
প্রতিরোধ:
১ নম্বর পয়েন্টের মতই ফেসবুক থেকে কোন লিংকে প্রবেশ করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন, বিশেষ করে শর্ট লিংক ও প্রাইভেট মেসেজে পাঠানো লিংকের মাধ্যমেই হ্যাকাররা ফিশিং করে থাকে। যদি কোন লিংকে প্রবেশ করার পর ফেসবুক লগিন পেজ এসেই পরে, তবে উপরে এড্রেসবারে দেখুন কোন আইপি এড্রেস লেখা আছে কিনা। লেখা থাকলে বুঝতে হবে যে এটি ফিশিং পেজ। এ ক্ষেত্রে ঐ পেজে আপনার ইমেইল ও পাসওয়্যার্ড টাইপ তো করবেনই না, বরং তাড়াতাড়ি পেজ থেকে বেড়িয়ে যান।
এ পদ্ধতিটি সম্পূর্ণ লিনাক্সভিত্তিক। Kali Linux হলে ভালো, অন্য লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশনেও করা যাবে। অন্য লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন হলে se-toolkit ও অন্যান্য প্যাকেজ ম্যানুয়ালি ইনস্টল করতে হবে। এক্ষেত্রেও পূর্বের পদ্ধতির মতই একটি নকল লগিন পেজ তৈরি করা হয়, তবে তা কোন ফ্রি বা পেইড হোস্টিং সার্ভিস ব্যবহার না করেই। হোস্টিংটা হয় নিজের কম্পিউটারে আর পাসওয়ার্ড পাওয়ার সাথে সাথেই মনিটরে প্রদর্শিত হয়। তবে হ্যাঁ, এজন্য পিসিটিকে পাসওয়ার্ড না পাওয়া পর্যন্ত অনলাইনে রাখতে হয়।
প্রতিরোধ:
১ নম্বর পয়েন্টের মতই ফেসবুক থেকে কোন লিংকে প্রবেশ করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন, বিশেষ করে শর্ট লিংক ও প্রাইভেট মেসেজে পাঠানো লিংকের মাধ্যমেই হ্যাকাররা ফিশিং করে থাকে। যদি কোন লিংকে প্রবেশ করার পর ফেসবুক লগিন পেজ এসেই পরে, তবে উপরে এড্রেসবারে দেখুন কোন আইপি এড্রেস লেখা আছে কিনা। লেখা থাকলে বুঝতে হবে যে এটি ফিশিং পেজ। এ ক্ষেত্রে ঐ পেজে আপনার ইমেইল ও পাসওয়্যার্ড টাইপ তো করবেনই না, বরং তাড়াতাড়ি পেজ থেকে বেড়িয়ে যান।
৩। কুকিজ হ্যাক:
এক্ষেত্রে Wireshark এর মত সফটওয়্যার ব্যবহার করে কোন পাবলিক বা প্রাইভেট নেটওয়ার্কে ভিক্টিমের কুকিজ খোঁজা হয়। কুকিজ পাওয়া গেলে বিশেষভাবে তা ব্রাউজারে সেট করে পাসওয়ার্ড ছাড়াই ভিক্টিমের ফেসবুক আইডিতে একসেস করা যায়। যদিও ফেসবুকের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি এখন কাজ করে না।
প্রতিরোধ:
যদিও এই পদ্ধতিতে এখন আর হ্যাক করা যায় না, তবুও সচেতন থাকা ভালো। এক্ষেত্রে ভালো কোনো ভিপিএন ব্যবহার করতে পারেন।
এক্ষেত্রে Wireshark এর মত সফটওয়্যার ব্যবহার করে কোন পাবলিক বা প্রাইভেট নেটওয়ার্কে ভিক্টিমের কুকিজ খোঁজা হয়। কুকিজ পাওয়া গেলে বিশেষভাবে তা ব্রাউজারে সেট করে পাসওয়ার্ড ছাড়াই ভিক্টিমের ফেসবুক আইডিতে একসেস করা যায়। যদিও ফেসবুকের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি এখন কাজ করে না।
প্রতিরোধ:
যদিও এই পদ্ধতিতে এখন আর হ্যাক করা যায় না, তবুও সচেতন থাকা ভালো। এক্ষেত্রে ভালো কোনো ভিপিএন ব্যবহার করতে পারেন।
৪। কি-লগার:
কি-লগার হচ্ছে এমন একটি এপ যা ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকে এবং ব্যবহারকারীর পিসির সব কি-স্ট্রোক (কি-বোর্ডে যা টাইপ করছে তা) রেকর্ড করে রাখে এবং ক্ষেত্রবিশেষে এটাকারকে অনলাইনে ভিক্টিমের কি-স্ট্রোক রেকর্ডস জানিয়ে দেয়। এতে করে ভিক্টিম যদি কখনও পাসওয়ার্ড টাইপ করে থাকে তবে তা এটাকারের কাছে ধরা পরে।
এক্ষেত্রে:
কি-লগার হচ্ছে এমন একটি এপ যা ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকে এবং ব্যবহারকারীর পিসির সব কি-স্ট্রোক (কি-বোর্ডে যা টাইপ করছে তা) রেকর্ড করে রাখে এবং ক্ষেত্রবিশেষে এটাকারকে অনলাইনে ভিক্টিমের কি-স্ট্রোক রেকর্ডস জানিয়ে দেয়। এতে করে ভিক্টিম যদি কখনও পাসওয়ার্ড টাইপ করে থাকে তবে তা এটাকারের কাছে ধরা পরে।
এক্ষেত্রে:
- Keylogger দিয়ে কোন ছবি, গান, সফটওয়্যার বা যেকোনো ফাইলকে ইনফেক্টেড করে তা ভিক্টিমের পিসিতে পাঠানোর পর ভিক্টিম সেই ফাইলটি ওপেন করলে পুরো পিসি আপনার দখলে চলে আসবে। এই ভাবে পুরো ১ মাস বা আরও বেশি সময় পর্যন্ত এটাকার ভিক্টিমের পিসিকে কন্টোলে রাখতে পারে। তবে ভিক্টিকের পিসি অবশ্যই নেট কানেকশন থাকতে হবে। আর হ্যাঁ, এন্টিভাইরাস ইন্সটল করা থাকলে এই ট্রিক দিয়ে কিছুই করা যাবে না।
- কিছু অফলাইন কি-লগারও রয়েছে। ভিক্টিম আপনার ফোন ইউজ করতে চাইলে এবং এটাকার আগেই কি-লগার অন করে রাখলে এটাকার পরবর্তীতে ভিক্টিকের টাইপ করা সকল জিনিস দেখতে পারবে। কিংবা এটাকার যদি কোনভাবে কি-লগার ভিক্টিমের ফোনে এক্টিভ করে দেয় এবং পরবর্তীতে ভিক্টিমের ফোন এক্সেস করার সুযোগ পায়, তবে পাসওয়ার্ডটি দেখে নিতে পারে।
- তাছাড়া অনেকে পাইথন বা অন্য কোন ভাষার বিভিন্ন স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করেও কি-লগার বানিয়ে ব্যবহার করে থাকে।
প্রতিরোধ:
অধিকাংশ কি-লগার প্রোগ্রামকেই এন্টিভাইরাস প্রোগ্রাম ডিটেক্ট করতে পারে। তাই আপনার ডিভাইসে এন্টিভাইরাস প্রোগ্রাম ইন্সটল রাখুন এবং নিয়মিত আপডেট করুন। মাঝে মধ্যে টাস্ক ম্যানেজারে দেখুন কোন অজানা প্রসেস সচল আছে কিনা। থাকলে প্রসেসটি বন্ধ করে দিন এবং দেখুন স্টার্টআপের মধ্যে কোন অজানা ফাইল বা সার্ভিস দেওয়া আছে কিনা। তবে এতকিছু যদি কঠিন মনে হয়, তবে শুধুমাত্র ট্রাসটেড সাইটগুলো থেকেই এপস ডাউনলোড করুন এবং পিসিতে এন্টিভাইরাস সচল রাখুন। প্রয়োজনে লিনাক্স চালান। কারণ, লিনাক্সে ভাইরাস আক্রমণের আশংকা কম (যেহেতু আপনার আশেপাশে উইন্ডোজ ইউজারই বেশি)।
৫। বাইন্ডিং পে-লোড / মেটাস্প্লোইট:
এটিও সম্পূর্ণ লিনাক্সভিত্তিক। এ পদ্ধতিতে এটাকার কোন এপের মধ্যে পে-লোড বা সহজভাবে বললে ভাইরাস ঢুকিয়ে দেয় এবং এপটি ভিক্টিমের কাছে যেকোনো উপায়ে হস্তান্তর করে। ভিক্টিম ঐ এপ ইন্সটল করে অনলাইনে প্রবেশ করার সাথে সাথেই পিসি হ্যাকারের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
প্রতিরোধ:
আপনার ডিভাইসে এন্টিভাইরাস ইনস্টল রাখুন এবং শুধুমাত্র ট্রাস্টেড সাইট থেকেই সফটওয়্যার ডাউনলোড করুন। এন্ড্রয়েডের ক্ষেত্রে প্লে-স্টোর বাদের অন্য যায়গা থেকে সফটওয়্যার ইন্সটলের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন।
এটিও সম্পূর্ণ লিনাক্সভিত্তিক। এ পদ্ধতিতে এটাকার কোন এপের মধ্যে পে-লোড বা সহজভাবে বললে ভাইরাস ঢুকিয়ে দেয় এবং এপটি ভিক্টিমের কাছে যেকোনো উপায়ে হস্তান্তর করে। ভিক্টিম ঐ এপ ইন্সটল করে অনলাইনে প্রবেশ করার সাথে সাথেই পিসি হ্যাকারের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
প্রতিরোধ:
আপনার ডিভাইসে এন্টিভাইরাস ইনস্টল রাখুন এবং শুধুমাত্র ট্রাস্টেড সাইট থেকেই সফটওয়্যার ডাউনলোড করুন। এন্ড্রয়েডের ক্ষেত্রে প্লে-স্টোর বাদের অন্য যায়গা থেকে সফটওয়্যার ইন্সটলের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন।
৬। ব্রুট ফোর্স:
এটি লিনাক্স দিয়ে করা যায়, আবার চাইলে উইন্ডোজ দিয়েও সম্ভব। এ পদ্ধতিতে এটাকার বিশেষ প্রক্রিয়ায় সম্ভাব্য পাসওয়ার্ডের একটি লিস্ট তৈরি করে একটি ফেসবুক আইডিতে একটি ছোট্ট স্ক্রিপ্টের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মিনিটে অনেকগুলো পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন করার চেষ্টা করতে থাকে। যদি মিলে যায়, তবে এটাকার পাসওয়ার্ডটি জানতে পারে। এ পদ্ধতিতে পাসওয়্যার্ড পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
প্রতিরোধ:
আপনার একাউন্টে দুর্বোধ্য ও সহজে অনুমান করা যায় না এমন পাসওয়্যার্ড ব্যবহার করুন। তাছাড়া, একাউন্টে টু-স্টেপ-ভেরিফিকেশন এনাবল রাখুন।
এটি লিনাক্স দিয়ে করা যায়, আবার চাইলে উইন্ডোজ দিয়েও সম্ভব। এ পদ্ধতিতে এটাকার বিশেষ প্রক্রিয়ায় সম্ভাব্য পাসওয়ার্ডের একটি লিস্ট তৈরি করে একটি ফেসবুক আইডিতে একটি ছোট্ট স্ক্রিপ্টের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মিনিটে অনেকগুলো পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন করার চেষ্টা করতে থাকে। যদি মিলে যায়, তবে এটাকার পাসওয়ার্ডটি জানতে পারে। এ পদ্ধতিতে পাসওয়্যার্ড পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
প্রতিরোধ:
আপনার একাউন্টে দুর্বোধ্য ও সহজে অনুমান করা যায় না এমন পাসওয়্যার্ড ব্যবহার করুন। তাছাড়া, একাউন্টে টু-স্টেপ-ভেরিফিকেশন এনাবল রাখুন।
৭। স্পেশাল সফটওয়্যার:
কিছু সফটওয়্যার রয়েছে যা দিয়ে চাইলে পুরো মোবাইল বা পিসির কন্ট্রোল নেওয়া যায়। এদের কতগুলো পেইড, আবার কতগুলো ফ্রি। ফলে ফেসবুক পাসওয়ার্ড হ্যাকও কোন ব্যাপার না। এন্ড্রয়েডেরও রয়েছে।
প্রতিরোধ:
আপনার ডিভাইসে এন্টিভাইরাস ইনস্টল রাখুন এবং শুধুমাত্র ট্রাস্টেড সাইট থেকেই সফটওয়্যার ডাউনলোড করুন। এন্ড্রয়েডের ক্ষেত্রে প্লে-স্টোর বাদের অন্য যায়গা থেকে সফটওয়্যার ইন্সটলের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন।
কিছু সফটওয়্যার রয়েছে যা দিয়ে চাইলে পুরো মোবাইল বা পিসির কন্ট্রোল নেওয়া যায়। এদের কতগুলো পেইড, আবার কতগুলো ফ্রি। ফলে ফেসবুক পাসওয়ার্ড হ্যাকও কোন ব্যাপার না। এন্ড্রয়েডেরও রয়েছে।
প্রতিরোধ:
আপনার ডিভাইসে এন্টিভাইরাস ইনস্টল রাখুন এবং শুধুমাত্র ট্রাস্টেড সাইট থেকেই সফটওয়্যার ডাউনলোড করুন। এন্ড্রয়েডের ক্ষেত্রে প্লে-স্টোর বাদের অন্য যায়গা থেকে সফটওয়্যার ইন্সটলের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন।
৮। সেভড পাসওয়ার্ড:
পিসিতে Google Chrome আর মোবাইলে UC Browser এ সেভ করা পাসওয়ার্ড দেখার ব্যবস্থা আছে। ভিক্টিমের পিসি/মোবাইল হাতের নাগালে থাকলে এ পদ্ধতিতে পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নেওয়া সম্ভব।
প্রতিরোধ:
ব্রাউজারে পাসওয়্যার্ড সেভ না করাই ভালো! ;-p আর এক্ষেত্রে যেহেতু ভিক্টিমের ডিভাইসের হাতের নাগালে না থাকলে এটাকার কিছুই করতে পারবে না, তাই কারো হাতে নিজের ডিভাইস তুলে দেওয়ার সময় সতর্ক থাকুন। প্রয়োজনে প্রত্যক এপের জন্য আলাদা পাসওয়্যার্ড দিয়ে রাখুন, এপ লক করার জন্য অনেক এপ রয়েছে।
পিসিতে Google Chrome আর মোবাইলে UC Browser এ সেভ করা পাসওয়ার্ড দেখার ব্যবস্থা আছে। ভিক্টিমের পিসি/মোবাইল হাতের নাগালে থাকলে এ পদ্ধতিতে পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নেওয়া সম্ভব।
প্রতিরোধ:
ব্রাউজারে পাসওয়্যার্ড সেভ না করাই ভালো! ;-p আর এক্ষেত্রে যেহেতু ভিক্টিমের ডিভাইসের হাতের নাগালে না থাকলে এটাকার কিছুই করতে পারবে না, তাই কারো হাতে নিজের ডিভাইস তুলে দেওয়ার সময় সতর্ক থাকুন। প্রয়োজনে প্রত্যক এপের জন্য আলাদা পাসওয়্যার্ড দিয়ে রাখুন, এপ লক করার জন্য অনেক এপ রয়েছে।
৯। S77:
এটা টেলিকম সিস্টেমের একটা ফ্ল। এ পদ্ধতিতে এটাকার যদি ভিক্টিমের ফেসবুকে দেওয়া ফোন নম্বর জানে, তবে এটাকার ভিক্টিমের ফোন নাম্বারটিতে টেলিকম কোম্পানি সিকিউরিটি ফ্ল এর মাধ্যমে এক্সেস নেয় (কোনো উপায়ে)। এরপর সে ফেসবুক লগিন পেজে ফরগেট পাসওয়ার্ড দিলে তার ক্রয় করা নাম্বারে সিকিউরিটি কোড আসে যার মাধ্যমে এটাকার ভিক্টিমের আইডির পাসওয়ার্ড রিসেট করে আইডির উপর কন্টোল নিয়ে নেয়।
প্রতিরোধ:
এক্ষেত্রে প্রতিরোধ হিসেবে তেমন কিছু নেই। তবে একদম নেই বললে ভুল হবে। আপনার একাউন্টে টু-স্টেপ-ভেরিফিকেশন ও লগিন এলার্ট এনাবল রাখুন। এতে করে অন্য কেউ আইডিতে এক্সেস নিলে বা নিতে চাইলে আপনি মেসেজ পেয়ে যাবেন। তাছাড়া একাউন্টে ট্রাস্টেড কন্টাক্স হিসেবে কয়েকজনকে নির্বাচন করুন। এতে আপনার একাউন্ট হ্যাক হয়ে গেলেও আপনার বন্ধুদের সাপোর্টের মাধ্যমে আপনি আপনার একাউন্ট ফিরে পেতে পারবেন।
এটা টেলিকম সিস্টেমের একটা ফ্ল। এ পদ্ধতিতে এটাকার যদি ভিক্টিমের ফেসবুকে দেওয়া ফোন নম্বর জানে, তবে এটাকার ভিক্টিমের ফোন নাম্বারটিতে টেলিকম কোম্পানি সিকিউরিটি ফ্ল এর মাধ্যমে এক্সেস নেয় (কোনো উপায়ে)। এরপর সে ফেসবুক লগিন পেজে ফরগেট পাসওয়ার্ড দিলে তার ক্রয় করা নাম্বারে সিকিউরিটি কোড আসে যার মাধ্যমে এটাকার ভিক্টিমের আইডির পাসওয়ার্ড রিসেট করে আইডির উপর কন্টোল নিয়ে নেয়।
প্রতিরোধ:
এক্ষেত্রে প্রতিরোধ হিসেবে তেমন কিছু নেই। তবে একদম নেই বললে ভুল হবে। আপনার একাউন্টে টু-স্টেপ-ভেরিফিকেশন ও লগিন এলার্ট এনাবল রাখুন। এতে করে অন্য কেউ আইডিতে এক্সেস নিলে বা নিতে চাইলে আপনি মেসেজ পেয়ে যাবেন। তাছাড়া একাউন্টে ট্রাস্টেড কন্টাক্স হিসেবে কয়েকজনকে নির্বাচন করুন। এতে আপনার একাউন্ট হ্যাক হয়ে গেলেও আপনার বন্ধুদের সাপোর্টের মাধ্যমে আপনি আপনার একাউন্ট ফিরে পেতে পারবেন।
আপনাদের অনলাইন জীবন সুরক্ষিত হোক... :-)
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন