সোর্স কোড হচ্ছে মানুষ পড়ে বুঝতে পারে এমন কোড। এ কোডকে কম্পাইলারের মাধ্যমে বাইনারি ফাইলে বা মেশিন পড়তে পারে এমন ফাইলে রূপান্তর করা হয়।
![]() |
সম্প্রতি মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ এক্সপি ও উইন্ডোজ সার্ভার ২০০৩ অপারেটিং সিস্টেমের সোর্স কোড ফাঁস হয়েছে। গত সপ্তাহে কিছু টরেন্ট ও ফাইল শেয়ারিং সাইটে এগুলো শেয়ার করা হয়েছে। যদিও এবারই প্রথম প্রকাশ্যে উইন্ডোজ এক্সপি এর সোর্স কোড ফাঁস হয়েছে, তবে ফাঁস করা ফাইলগুলোতে দাবি করা হয়েছে যে এক্সপির কোড অনেক আগেই গোপনীয়তার সাথে ফাঁস হয়েছে।
মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে তারা এ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছেন।
গবেষকদের মতে, ফাঁস হওয়া এ কোড যদি সঠিক হয়, তবে তা এর ব্যবহারকারীদের জন্য বিপদ ডেকে আনবে এবং হ্যাকাররা এখন আগের চেয়েও সহজে উইন্ডোজ এক্সপি ব্যবহারকারীদের টার্গেট করতে সক্ষম হবে।
টরেন্টটিতে উইন্ডোজ এক্সপি এবং উইন্ডোজ সার্ভার ২০০৩ এর পাশাপাশি আরও যেসব সোর্স কোড ছিলো তা হচ্ছে:
- MS DOS 3.30
- MS DOS 6.0
- Windows 2000
- Windows CE 3
- Windows CE 4
- Windows CE 5
- Windows Embedded 7
- Windows Embedded CE
- Windows NT 3.5
- Windows NT 4
![]() |
সূত্র: Dey |
যদিও এবারই প্রথম উইন্ডোজ এক্সপির কোড প্রকাশ্যে ফাঁস হলো, মাইক্রোসফটের বিশেষ Government Security Program (GSP) রয়েছে যার বদৌলতে সরকার এবং কিছু প্রতিষ্ঠান অপারেটিং সিস্টেমের সোর্স কোড এবং অন্যান্য টেকনিক্যাল কন্টেন্টের এক্সেস পেতে পারে।
এবারই যে মাইক্রোসফটের কোনো কোড ফাঁস হলো এমনটি নয়। কয়েক বছর আগেও উইন্ডোজ ১০ বিষয়ক প্রায় ১ জিবি সোর্স কোড ফাঁস হয়েছিলো। এ বছরের মার্চে Xbox এবং Windows NT 3.5 এর সোর্স কোড এবং এর কয়েক সপ্তাহ আগে Xbox Series X এর গ্রাফিক্স সোর্স কোড ফাঁস হয়েছিলো।